আগের একটি পোষ্টে আমাদের তাবলীগী ভাইদের কোরাণ শিক্ষার প্রতি অনীহার কথা লিখেছিলাম .। আজকের বিষয় জরুরী এলেম শিক্ষা । এ বিষয়েও তাবলীগী ভাইদের সীমাহীন উদাসীনতা দেখা যায় । হজরত মাওনালা ইলিয়াস রহ: -ও বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।
" এলেম ও জিকিরের লাইনে আমাদের কর্মীদের বড় কমী ( দূর্বলতা) "
তাবলীগের উসুলের একটি গুরুত্বপূর্ন উসুল এলেম। ফাজায়েলে এলেম তালীমের হালকায় বসে শিখতে হয়, আর মাসালা ওলামাদের কাছ থেকে । এখন সমস্যা হচ্ছে ফাজায়েলের তালীম যেহেতু এস্তেমায়ী ভাবে হয়, তাই এতে সবাই বসে থাকে । কিন্তু মাসালা শিক্ষা ব্যক্তিগত ভাবে করতে হয়, তাই দেখা যায় ফাজায়েলে তালীমে যে পরিমাণ সময় খরচ হয় তার শত ভাগের একভাগও কর্মীরা মাসালা শিক্ষার জন্য খরচ করে না!
অথচ জরুরী এলেম শিক্ষা করা তো সবার জন্যই ফরজ । কতটুকু এলেম শিখলে জরুরী এলেম শিখা হবে ? বিদগ্ধ আলেমরা বলেন বেহেশতি জেওর পড়লে ১২-১৪ আনা কাজ চলে যাবে, আর বকীটা ওলামাদের কাছ থেকে জেনে জেনে চলবে। সে যাই হোক , যে কোন ভাবে -ই তো আমাডের জরুরী এলেম শিখা দরকার । আবার অনেকে বহু বছর আগে নিজে নিজে গল্পের মত বেহেশতী জেওর হয়ত পড়েছে, এবং নিজে এই ধারণাও করে যে সে মাসালা জানে, আসলে কজের সময় দেখা যায় মাসালা - কিছুই জানে না !
আমাদের মুবাল্লীগ ভাইরা কি এ বিষয়ে একটু নজর দিবেন ?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯